0
যে মেট্টিক পর্যন্ত পড়ছে সে ভাবে কোন ভাবে ডিগ্রী টা করতে পারলে লাইফটা সুন্দর হইতো। . যে ডিগ্রী করছে সে ভাবে ভাল ভার্সিটিতে ভালো সাবজেক্টে পড়তে পারলে লাইফটা ভালো ভাবে সেটেল হইতো। . যে ভালো ভার্সিটি থেকে পাশ করে প্রাইভেট কোম্পানীতে এক্সিকিউটিভ জব করে সে ভাবে সরকারী জব করলে শান্তিতে থাকা যাইতো। . যে সরকারী জব করে সে ভাবে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হইয়া নিজের চেম্বার খুইল্লা বসতে পারলে লাইফটা সুখি হইতো। . যে ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার সে ভাবে এতো কম্পিটিশনের পড়াশুনার চেয়ে ডিফেন্স অফিসার হইতে পারলে মনেহয় ভালো হইতো। পাওয়ার, সম্মান সবই থাকতো। . যে ডিফেন্সে সে ভাবে এতো ডিসিপ্লিন লাইফ ভাল্লাগে না। ব্যাবসায়ী হইতে পারলে মনেহয় শান্তিতে থাকা যাইতো, স্বাধীন লাইফ। . যে ব্যাবসায়ী সে ভাবে এইদেশে আবার ব্যাবসা!! বিদেশ যাইতে পারলে মনেহয় ভালো হইতো। নিশ্চিন্ত লাইফ। . যে প্রাবাসী সে ভাবে লাইফে চাকচিক্য, নিরাপত্তা সবই আছে কিন্তু আপনজন কেউই কাছে নাই। এর চেয়ে দেশে বেকার বসে থাকলেও ভালো হইতো। . যে বেকার সে ভাবে প্রতিবন্ধি হইলে মনেহয় ভালো হইতো, এতো জুতার তলা ক্ষয় করতে হইতো না, কোন কোটা বা কারো সিম্প্যাথিতে এমনেই জব জুটে যাইতো। . যে সব দিক দিয়ে ফুলফিল কিন্তু প্রতিবন্ধি সে ভাবে আল্লাহ শুধু পরিপূর্ণ সুস্থ রাখতো তাহলে আর কিছুরই দরকার ছিলো না। . . আসলে আপনার যা আছে তা অন্যের কাছে সপ্ন আবার অন্যের যা আছে তা হয়তো আপনার কাছে সপ্ন।আসলে আমরা মানুষের জাতটাই এমন। নিজের কি কি আছে তা দেখি না। নিজের যা আছে তাতে সন্তুষ্ট থাকতে পারি না, অন্যেরটাতে সুখ খুঁজি। . ফাস্ট্রেটেড হয়ে স্ট্যাটাস দেই ‘শান্তির মা মরছে’! . ‘শান্তির মা’ যদি মরেও থাকে কেউ কিন্তু বলেনি ‘শান্তি’ মারা গেছে। শুধু শান্তিকে খুজে নিতে হবে। নিজের যা আছে তাতে শোকর থাকলে শান্তি এমনিতেই আসবে।

Post a Comment

 
Top