নয় বছরের চেংরি মুই,
দিন ছিল কতো ভাল,
আরও ছিল পাশে,
মোর ছয় বোন,
কোলে কোলে মানুষ মোর।
চৌদ্দতে পাা রাখার সাথে,
বাপ খুজতে লাগল একপাত্র,
খুজতে খুজতে পাইয়ে গেল ,
যেমনি লম্বা তেমনি মোটা তোর সেই নানা।
চাদের আলোর মত হাসত,
বড়ই ভাল লাগতো।
পনেরোর মাঝাের দিকে,
হল তোর মা।
তোর মাকে দেখে কত যে খুশি,
তোর নানু ভাই।
সারাদিন তারে কোলে করে নিয়ে ,
ঘুরত গোটা গ্রাম।
আর একটা কথা,
বলতে ভুলে গেছলাম,
তোর নানা ছিল মাথা মোটা দেওয়ানি ,
গ্রামের যত সমস্যা ছিল,
যেন সমস্যা নয় ছিল তার মাথার বোঝা।
তোর মাকে কোলে নিয়ে কত যে বিচার করে,
যেমনি বড় তেমনি জোড়ে হাটা,
দুপায়ে যেন এ ঘর থেকে ও ঘর চলে যায়,
হাসিমাখা মুখখানা যেন স্বর্গীয় সুখ মোর ।
জানিস ভাই, তোর নানা ছিল তোর মত লম্বা,
তোকে যেন তারেই ছায়া পাই।
তোর খালা হল পরের বছর,
খুব দুষ্ট ছিল বটে ,
দুই মেয়ে দুকোলে নিয়ে,
কতোইনা মজা করত তোর নানা,
মেয়ে যেন নয় স্বর্গ যেন তার কোলে ,
কতনা সুখে কাটত সেই দিনগুলো।
তোর খালাকে যে কত আদর করত,
কত কি কিনে দিত ,
সেই লাল রঙের জামার কথাটা,
মোর আজও মনে আছে ভাই।
তোর মার জন্য আনল জামা,
জোর করে নিতে চায় তোর খালা,
ঘুম থেকে উঠে জামা না দেখলে,
কেদে কেদে কাটত তার বেলা,
সেই কান্না নিয়ে তোর নানা যে কত চিন্তা করত,
কান্না বন্ধ করা যেত না পানি পড়া খাওয়াইয়াও।
জামা যেন তার খাবারের মত,
নিয়ে থাকত সর্বদা পাশে,
এই নিয়েও তোর দুষ্টামিতে মাটত।
তারপরের বছর হল তোর মামা ,
এ যে বড় খুশির খবর,
পুরো এলাকা ভরে গেল সেই মিষ্টি দিয়ে,
সেদিনের মত সুখী মানুষ আর ,
দেখিনি কথনোই তোর নানাকে,
কত যে সুখের দিন ছিল সেই,
বলতে পারব না ভাষায় তোক ,
সুখযে ফুলের মত ,
ক্ষণকালের জন্য ফোটে ,
মানুষকে একটু ঘ্রাণ দিয়ে,
আবার সে চলে যায়।
তোর নানা ছিল সেই ফোটা ফুল,
চলে গেল বিয়ের তিন বছর পর,
সেই পাড়ে গেল,
যে পাড়ে গেলে কেউ আসে না ফিরে।
কাটিত বেলা চোখের জলে,
ভেঙে পড়ে গেছিলাম,
মুই বাদে অভাগা তিনজনের হবে কি এখন?
আছে আরও ছয় বোন কি করব এখন?
ছয় বোনের যখন এখনো দিতে পারে নি বিয়ে,
মোরকি হবে আরো বিয়ে?
হলে এদের বা কি হবে!
নাই বাপ নাই তার মা,
এভাবেই কি এরা মারা যাবে?
কাদতে কাদতে তুলার বালিশ গেল ভিজে,
আরো ভিজল পরণের কাপড়,
কোনএকদিন যেন গেল ফুরে ,
মোর দুনয়নের সাগর।
মনটাকে করিলাম শক্ত,
নিজেকে বাজি নিলাম,
আমি না হয় মরব,
তবে এদের মরতে দেব না ,
আমি নায় না খেয়েই থাকব,
তবুও এদের খাওয়াব,
বাধলাম শাড়ির আচল,
ধরলাম কোদালের ডেরা,
ফলালাম ফষল,
যে মুই কখনো ক্ষেতবাড়ি যায় নি।
সারাদিন খাটিয়া ফষল ফলাইয়া,
জুটিত খাবার তাদের ,
শতচেষ্টায় শতভাবে তাদের সন্তষ্ট রাখি,
একবারের জন্যও বুঝতে দেয় নি,
তারা বাপ হারা সন্তান।
এমনি করিয়া বড় করিলাম,
তোর মা, খালা, মাামাকে,
তোর মা যখন ম্যাট্রিকে পড়ে,
ভাই খুজে আনল তোর বাপকে ,
বাড়ি নাকি কুড়ে ঘড়ে গড়া,
এ ঘর থেকে ও ঘর দেখা যায়,
নাই নাকি তার পায়খানা
তবুও ভাই পছন্দ করছে ,
তোর বাপকে পড়ালেখা জানে বলে,
হল বিয়া তিন বিঘা জমি বিক্রি করে,
নিল তোর বাপ চাকরী এই টাকা দিয়ে।
তোর মাকে কত ভালোবাসতাম,
সে তো আর পাশে নেই,
কে নিবে মোর বাকি দুটাক কোলে,
পাইনি, আসে নি কেউ এগিয়ে ।
আবাদের জমি গেল,
আরো কমলো একজন,
বাড়লো চিন্তা বাড়লো টেনশন,
আরো কতদিন থাকব ,
এভাবে বেচে?
তোর খালা তো একটু বুঝে,
পড়ে ক্লাস অস্টমে,
পাশের গ্রামের ছেলের সাথে ,
করল সে বিয়ে।
জামাই নিল কিছু টাকা ,
ব্যবসা করে খাবে বলে ।
বাড়ি থেকে যাচ্ছে সবাই,
আমাকে একা রেখে,
কেন হয়না বিদায় মোর?
তোর মামা ছিল ফট্টুয়ান্তি,
পড়তে চাইতো না একটুও,
পড়ার কথা বললে একটু,
বিগড়ে উঠত আমার সাথে।
কত কষ্ট করে বাজি নিয়ে,
বড় করিলাম তাদের,
দেখছিস ভাই,
আমার খেয়ে আমাকে বকা মারে।
ঐজন তার বাপকে নিছে,
তারা বাপের আদর পায় নি,
আমি কি কিছু করেছি?
ঐজন তাদের বিরত রাখছে,
তার বাপের স্নেহ থেকে,
আমার কি কোন হাত আছে সেথায়?
আমি তো উৎসর্গ করেছি জীবন মোর ,
না হলে কেউ কি,
আঠারো বছের ভরা যৌবন,
এভাবে শেষ করে?
আমি করেছি তাদের জন্য,
তাদেরকে বাচার জন্য,
তাদের দুঃখের সাথি হওয়ার জন্য,
তাদেরকে বাচিয়ে রাখার জন্য।
নিজে কি না করেছি?
নিজ হাতে গাছ লাগাইছি,
দেখছিস, সেই গুয়ার বাগানে আজ,
কত গুইয়া ধরছে ,
নিজের হাতে রোয়া লাগাইছি ভাই,
নিজ হাতে সব করছি,
জানি কেউ নাই কেউ নাই মোর।
ধরার মাঝে খোদা কখনো কাউকে এমন নিঃস করে ,
বেচে থাকার মত সাহস শক্তি লুট হয়ে যায় কোনদিকে,
দিন ছিল কতো ভাল,
আরও ছিল পাশে,
মোর ছয় বোন,
কোলে কোলে মানুষ মোর।
চৌদ্দতে পাা রাখার সাথে,
বাপ খুজতে লাগল একপাত্র,
খুজতে খুজতে পাইয়ে গেল ,
যেমনি লম্বা তেমনি মোটা তোর সেই নানা।
চাদের আলোর মত হাসত,
বড়ই ভাল লাগতো।
পনেরোর মাঝাের দিকে,
হল তোর মা।
তোর মাকে দেখে কত যে খুশি,
তোর নানু ভাই।
সারাদিন তারে কোলে করে নিয়ে ,
ঘুরত গোটা গ্রাম।
আর একটা কথা,
বলতে ভুলে গেছলাম,
তোর নানা ছিল মাথা মোটা দেওয়ানি ,
গ্রামের যত সমস্যা ছিল,
যেন সমস্যা নয় ছিল তার মাথার বোঝা।
তোর মাকে কোলে নিয়ে কত যে বিচার করে,
যেমনি বড় তেমনি জোড়ে হাটা,
দুপায়ে যেন এ ঘর থেকে ও ঘর চলে যায়,
হাসিমাখা মুখখানা যেন স্বর্গীয় সুখ মোর ।
জানিস ভাই, তোর নানা ছিল তোর মত লম্বা,
তোকে যেন তারেই ছায়া পাই।
তোর খালা হল পরের বছর,
খুব দুষ্ট ছিল বটে ,
দুই মেয়ে দুকোলে নিয়ে,
কতোইনা মজা করত তোর নানা,
মেয়ে যেন নয় স্বর্গ যেন তার কোলে ,
কতনা সুখে কাটত সেই দিনগুলো।
তোর খালাকে যে কত আদর করত,
কত কি কিনে দিত ,
সেই লাল রঙের জামার কথাটা,
মোর আজও মনে আছে ভাই।
তোর মার জন্য আনল জামা,
জোর করে নিতে চায় তোর খালা,
ঘুম থেকে উঠে জামা না দেখলে,
কেদে কেদে কাটত তার বেলা,
সেই কান্না নিয়ে তোর নানা যে কত চিন্তা করত,
কান্না বন্ধ করা যেত না পানি পড়া খাওয়াইয়াও।
জামা যেন তার খাবারের মত,
নিয়ে থাকত সর্বদা পাশে,
এই নিয়েও তোর দুষ্টামিতে মাটত।
তারপরের বছর হল তোর মামা ,
এ যে বড় খুশির খবর,
পুরো এলাকা ভরে গেল সেই মিষ্টি দিয়ে,
সেদিনের মত সুখী মানুষ আর ,
দেখিনি কথনোই তোর নানাকে,
কত যে সুখের দিন ছিল সেই,
বলতে পারব না ভাষায় তোক ,
সুখযে ফুলের মত ,
ক্ষণকালের জন্য ফোটে ,
মানুষকে একটু ঘ্রাণ দিয়ে,
আবার সে চলে যায়।
তোর নানা ছিল সেই ফোটা ফুল,
চলে গেল বিয়ের তিন বছর পর,
সেই পাড়ে গেল,
যে পাড়ে গেলে কেউ আসে না ফিরে।
কাটিত বেলা চোখের জলে,
ভেঙে পড়ে গেছিলাম,
মুই বাদে অভাগা তিনজনের হবে কি এখন?
আছে আরও ছয় বোন কি করব এখন?
ছয় বোনের যখন এখনো দিতে পারে নি বিয়ে,
মোরকি হবে আরো বিয়ে?
হলে এদের বা কি হবে!
নাই বাপ নাই তার মা,
এভাবেই কি এরা মারা যাবে?
কাদতে কাদতে তুলার বালিশ গেল ভিজে,
আরো ভিজল পরণের কাপড়,
কোনএকদিন যেন গেল ফুরে ,
মোর দুনয়নের সাগর।
মনটাকে করিলাম শক্ত,
নিজেকে বাজি নিলাম,
আমি না হয় মরব,
তবে এদের মরতে দেব না ,
আমি নায় না খেয়েই থাকব,
তবুও এদের খাওয়াব,
বাধলাম শাড়ির আচল,
ধরলাম কোদালের ডেরা,
ফলালাম ফষল,
যে মুই কখনো ক্ষেতবাড়ি যায় নি।
সারাদিন খাটিয়া ফষল ফলাইয়া,
জুটিত খাবার তাদের ,
শতচেষ্টায় শতভাবে তাদের সন্তষ্ট রাখি,
একবারের জন্যও বুঝতে দেয় নি,
তারা বাপ হারা সন্তান।
এমনি করিয়া বড় করিলাম,
তোর মা, খালা, মাামাকে,
তোর মা যখন ম্যাট্রিকে পড়ে,
ভাই খুজে আনল তোর বাপকে ,
বাড়ি নাকি কুড়ে ঘড়ে গড়া,
এ ঘর থেকে ও ঘর দেখা যায়,
নাই নাকি তার পায়খানা
তবুও ভাই পছন্দ করছে ,
তোর বাপকে পড়ালেখা জানে বলে,
হল বিয়া তিন বিঘা জমি বিক্রি করে,
নিল তোর বাপ চাকরী এই টাকা দিয়ে।
তোর মাকে কত ভালোবাসতাম,
সে তো আর পাশে নেই,
কে নিবে মোর বাকি দুটাক কোলে,
পাইনি, আসে নি কেউ এগিয়ে ।
আবাদের জমি গেল,
আরো কমলো একজন,
বাড়লো চিন্তা বাড়লো টেনশন,
আরো কতদিন থাকব ,
এভাবে বেচে?
তোর খালা তো একটু বুঝে,
পড়ে ক্লাস অস্টমে,
পাশের গ্রামের ছেলের সাথে ,
করল সে বিয়ে।
জামাই নিল কিছু টাকা ,
ব্যবসা করে খাবে বলে ।
বাড়ি থেকে যাচ্ছে সবাই,
আমাকে একা রেখে,
কেন হয়না বিদায় মোর?
তোর মামা ছিল ফট্টুয়ান্তি,
পড়তে চাইতো না একটুও,
পড়ার কথা বললে একটু,
বিগড়ে উঠত আমার সাথে।
কত কষ্ট করে বাজি নিয়ে,
বড় করিলাম তাদের,
দেখছিস ভাই,
আমার খেয়ে আমাকে বকা মারে।
ঐজন তার বাপকে নিছে,
তারা বাপের আদর পায় নি,
আমি কি কিছু করেছি?
ঐজন তাদের বিরত রাখছে,
তার বাপের স্নেহ থেকে,
আমার কি কোন হাত আছে সেথায়?
আমি তো উৎসর্গ করেছি জীবন মোর ,
না হলে কেউ কি,
আঠারো বছের ভরা যৌবন,
এভাবে শেষ করে?
আমি করেছি তাদের জন্য,
তাদেরকে বাচার জন্য,
তাদের দুঃখের সাথি হওয়ার জন্য,
তাদেরকে বাচিয়ে রাখার জন্য।
নিজে কি না করেছি?
নিজ হাতে গাছ লাগাইছি,
দেখছিস, সেই গুয়ার বাগানে আজ,
কত গুইয়া ধরছে ,
নিজের হাতে রোয়া লাগাইছি ভাই,
নিজ হাতে সব করছি,
জানি কেউ নাই কেউ নাই মোর।
ধরার মাঝে খোদা কখনো কাউকে এমন নিঃস করে ,
বেচে থাকার মত সাহস শক্তি লুট হয়ে যায় কোনদিকে,
Post a Comment