0
দারিদ্রের কাছে হার মানি নি , মানব না।
হয়ত অনেক স্বপ্ন ভেঙেছি কিন্ত কখনোই আশা ছাড়ি নি , ছাড়ব না ।
হয়ত অনেক কষ্ট করেছি আরো করব তবুও হার মানব না।
হয়ত অনেক ধৈর্য ধরেছি আরো ধরব তবুও ধৈর্যের শেষটা দেখব।
.
আমি কখনোই বাবার কি আছে সেটা তাকাই  না। আমার বড় প্রশ্ন আমার কি আছে? কি থাকবে? কি হব?
.
মধ্যম পরিবারের বড় শয়তান(সন্তান) হওয়ায় হারে হারে বুঝেছি টাকা কি জিনিস? দারিদ্র কি জীনিস? মানুষ কি জীনিস? অবস্থান কি জিনিস? পদমর্যাদা কি জীনিস?ক্ষমতা কি জীনিস? ক্ষমতা অপব্যবহার কি জীনিস? স্বার্থপর কি জীনিস?
.
ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল "পৃথিবীকে নতুন কিছু সৃষ্টি করার জন্যই আমার জন্ম হয়েছে " ।কিন্ত দারিদ্রের কাছে ইচ্ছাটি বারবার পরাজিত। তবুও হার মানি নি  ।ছোট থেকেই বেশী করে ভাবা আমার কাজ ছিল। হয়ত  এক-দুটা টস লাইট নিয়ে খুব বেশী ভাবায় এখনো বাবা বলে "তোক বাজারে মেকানিকসের দোকান দিয়ে দেই সেটা করেই খাস " ।আমি জানি আমার দ্বারা কি সম্ভব। আমি সাইকেলের মেকানিকসও শিখে গিয়েছিলাম।জানি সেটা করে মাস কমপক্ষে 15 হাজার টাকা ইনকাম সম্ভব। কিন্ত নিজের উপর বিস্বাস আছে আমার মাসিক ইনকাম এর কয়েক গুন হবে।
.
ছোট বেলায় যখন ফোন হাতে পায়নি, তখনি ফোন ভাল করার কাজ করতাম। এখনো মনে আছে সেই বিছানাটার কথা। যেথায় সম্পুর্ন বিদ্যুৎ ভরা ছিল। আমি তারই উপর শুইতাম। নতুন কিছু তৈরির জন্য একটা ম্যাপ একেছিলাম "যে সুর্য শক্তিকে কাজে লাগালে আকাশে উরা যাবে " ।কিন্ত টাকাও নাই বাস্তবও হয় নাই। কিন্ত তার দু মাস পরে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এ দেখি এটা একজন করছে । যা হোক বাস্তবতা যতই কঠিন হোকনা কেন, মোকাবেলা বড় জিনিস।
.
আমি ঢাকায় ছিলাম চার মাস। কিন্ত তখন শিখেছি তিন-চার দিন ভাত না খাওয়া কত কষ্টের কাজ। দশজন মিলে গরুর ঘরে থেকে কিভাবে পড়া যায়? দু হাজার টাকায় কিভাবে থাকা খাওয়া চলা যায়? রিক্সার চেয়ে হাটা কত ভাল? ৮০ টাকার জুতা পড়ে কত সুন্দর করে হাটা যায়! ঢাকায় মানুষরা কত কি খায়, আমি কখনো সে রকম পকেটে না থাকায় ফুসকা কি জীনিস সেটা হয়ত এখনো বুঝি নি ,রেস্টুরেন্টে কিভাবে খেতে হয়ত এখনো জানি না। প্রয়োজন ছাড়া এক মহুর্ত কোথাও যায় নি।
.
সেদিনকারি কথা। সব বন্ধুরা এক হাজার  নিয়ে গেল ,আমার বাবা আমাকে চারশত টাকা দিল। আমি হয়ত উপোস থেকে-টেকে যাওয়া আসা সহ তিন শত গেছে। কিন্ত সব বন্ধুদের এক হাজার টাকাও শেষ করে এসেছিল।
.
"হে দারিদ্র্য
তুমি করেছ মহান "
.
আমি এই দারিদ্রের কারনেই হয়ত অনেক বড় একটা স্বপ্ন দেখেছি। মৃত্যুর আগে আমার দাদি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে স্বপ্ন পুরনের ইঙ্গিত কানে কানে  দিয়ে গেছে ।আমি আজও সঙ্কিত কিংবা হতাশা গ্রস্ত নেই ।
তবে বাবা-মা যখন দৈনিক চাকুরি করতে বলে তখন নিজেকে খুব খারাপ লাগে। তবুও হতাশ হয় নি। আশা ছাড়ি নি।
ছোট থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্জন্ত আমি দাদির সঙ্গে ছিলাম। সে কারনে হয়ত বাবা-মা আপেক্ষা দাদি মনের অনেক অংশে জুড়ে আছে।
.
"ব্যর্থতা যখন দরজায় এসে দাড়ায়,
সুসময়ের আপন মানুষ জানলা দিয়ে পালায় "
.
এটা হয়ত জগতের নিয়ম।
আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
এমনও চেষ্টা করেছি রাস্তায় বইয়ের পাতা ছিড়ে নিয়েও পড়তাম। তদপরি যখন ব্যর্থতা কামড় দিল। তখন মনটা যেন পাথর হয়ে গেল  । আমি এটুকুই জানি, এই ব্যর্থতার অপর পাশটা অনেক সুন্দর হবে। আসলেই সুন্দর হবে।
.

Post a Comment

 
Top