জীবন কখনও আমার মত করে হয় না, জীবন চলে জীবনের মতো করে ।কখনও সয় না, কখনো বরিং কখনো কান্না কখনো হাসি কখনও আবেগ কখনও বাস্তব ।। এই নিয়েই তো জীবন ।।
চাওয়া গুলো কখনোই সাথে সাথে পাওয়া হয় না। কখনও জেনেও অনাকাঙ্ক্ষিত জীবনে পা দিতে, শুরু করতে হয়, নতুন করে সাজতে হয়, নতুন রুপ দিতে হয়, নতুন করে অভিনয় করতে হয়, নতুনভাবে চলতে হয়, নতুনত্ব সৃষ্টি করতে হয়।
ফেসবুকে পরিচয়, সেই বান্ধবী কল দিয়ে বলতেছে " দোস,আমার তো সমায় শেষ "। ভাবছিলাম কঠিন কোন রোগ attack করেছে। দীর্ঘ ১ বছর ধরে কথা হয় না। হটাৎ ফোনে এ কথা শোনে, ভাবাটাই স্বাভাবিক। ভাবছি মাপ চাবে আর কি! পরে জিজ্ঞাস করলাম, "ক্যনরে দোস "। উত্তরে স্লো করে বললো, সামনে বৃহস্পতিবার আমার বিয়ে! আমি বললাম Congratulations দোস। Thank দিল। মনটা ভারি ভারি। জানি না কি জন্য? তবে মনে হয়, অতিত কে ডিলেট করতে হবে তাই মন থেকে মুছছে না কষ্ট গুলো। বিয়া মানেি নতুন করে সাজা, নতুন রুপ দেওয়া, নতুনত্ব হওয়া। আগের জীবন ভুলে গিয়ে নতুন মানুষের সাথে, নতুন করে নতুনভাবে অভিনয় শুরু করা। মেনে নেওয়া যায় না, তবুও মেনে নিতে হয়।
কি বদ্ধ সমাজে আমরা বাস করি? মেয়েদের তাড়িয়ে দিলেই বাচি। একবারও ভাবি না, মেয়েটার ভবিষ্যৎ কেমন হবে? অশিক্ষিত কখনোই শিক্ষিত এর মর্যা দিতে পারে নি।বাবা তাই বলত, " শিক্ষিত এর ঘুম অশিক্ষিত এর সারা রাত ইবাদতের চেয়েও উত্তম "।আসলেই তাই। তাদের ভাবনা জগৎ অন্ধ, ভাবতে পারে না তাই ভবিষ্যৎ অন্ধ। কিভাবে একটা অনার্স পড়ুয়া মেয়েকে অশিক্ষিত ছেলের হাতে দেই? তারা কি দিবে মর্যাদা? বরং মেয়েটার জীবন শেষ করে দিবে এমনকি পড়াশোনাও বন্ধ করে দিবে। এই তো, এটাই কি মেয়েটার পাও না? কি দোষ করেছিল যে কারনে সমাজ তাকে ধংস করলো, বিচার চাই।।
আমরা হারি নি।
900 কোটির মধ্যে কত কোটি কোটি মেয়ে কোটি কোটি ফাদে পরে জীবন শেষ করতেছে। বলা বাহুল্য মেয়েদের যদি স্বশিক্ষিত করা যেত, পৃথিবীকেই স্বর্গ রুপান্তর করা যেত। ওদের মনটা অনেক সুন্দর, ভাবনা জগৎ অনেক বড়, পরিশ্রম করার জন্য রয়েছে লেগে থাকা শক্তি। এটাই বাস্তবতা।
Post a Comment