গতকাল হাতিরঝিলের ঘটনা ।
স্কুল ড্রেস পরিহিতা এক মেয়ে এবং একটা ছেলে বেশ আপত্তিকর অবস্থায় একটা বেঞ্চিতে বসে আছে । বেশ জোরেশোরে মেলামেশা করছে । বড় জোর ক্লাস নাইন টেনের ছেলেমেয়ে হবে এরা ।
স্কুল ড্রেস পরিহিতা এক মেয়ে এবং একটা ছেলে বেশ আপত্তিকর অবস্থায় একটা বেঞ্চিতে বসে আছে । বেশ জোরেশোরে মেলামেশা করছে । বড় জোর ক্লাস নাইন টেনের ছেলেমেয়ে হবে এরা ।
পাশ দিয়ে দুয়েকজন হেটে গেলেও তারা সেভাবে নিচ্ছে না । একটু পরপর অশ্লীল ভঙ্গিতে সেলফি তুলছে । মেয়েটাকে দেখে একটু কনফিউজ হয়ে গিয়েছিলাম । এটা কি ভাড়া করা পতিতা নাকি স্কুলের ছাত্রী ?
আমি চিটাগং শহরে প্রচুর টিউশনি করিয়ে এসেছি ।
আমার এক ছাত্রী ছিল যার কিনা শুধু জুতোই ছিল বারো জোড়া । ক্লাস টেনের ছাত্রী সে । ফোন ছিল ৩ টা । দুইটা স্মার্ট ফোন আর একটা বাটন ফোন । কোনদিন আমি তার থেকে পড়া আদায় করতে পারিনি । যেদিনই একটু পড়া আদায় করতে যেতাম সেদিনই আন্টি এসে বলতেন , আমার মেয়ে প্রেশার নিতে পারে না । ওকে এতো পড়া দিও না ।
আমার এক ছাত্রী ছিল যার কিনা শুধু জুতোই ছিল বারো জোড়া । ক্লাস টেনের ছাত্রী সে । ফোন ছিল ৩ টা । দুইটা স্মার্ট ফোন আর একটা বাটন ফোন । কোনদিন আমি তার থেকে পড়া আদায় করতে পারিনি । যেদিনই একটু পড়া আদায় করতে যেতাম সেদিনই আন্টি এসে বলতেন , আমার মেয়ে প্রেশার নিতে পারে না । ওকে এতো পড়া দিও না ।
লালখান বাজারে আমার আরেকটা ছাত্র ছিল ।
পড়তো ক্লাস নাইনে । ওর গার্লফ্রেন্ডই ছিল ৩ টা । তার বাবা বিজনেস করে । নিজেদের গাড়ি আছে । হাতে দামী ফোন আর ডিএসএলআর নিয়ে ঘোরে । পড়াশুনায় খারাপ না হলেও খুব একটা ভালো ছিল না ।
পড়তো ক্লাস নাইনে । ওর গার্লফ্রেন্ডই ছিল ৩ টা । তার বাবা বিজনেস করে । নিজেদের গাড়ি আছে । হাতে দামী ফোন আর ডিএসএলআর নিয়ে ঘোরে । পড়াশুনায় খারাপ না হলেও খুব একটা ভালো ছিল না ।
আমি শুধু বেতনভোগী টিচার । পড়াতাম আর টাকা নিতাম । কিন্তু গভীর মনোযোগে খেয়াল করতাম বাপ মা কিভাবে ছেলে মেয়েকে নষ্ট করছে ।
দিন কয়েক আগে ভিকারুন্নিসার একটা মেয়ে সুইসাইড করেছে । নকল করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে । সেটা প্রমানিত হয়েছে । বলা হচ্ছে তাকে অপমান করার কারনে সুইসাইড করেছে সে ।
একজন শিক্ষককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
আচ্ছা বলুন তো দেখি ,অরিত্রীর মতো এরকম প্রচুর মেয়ে স্কুল ফাকি দিয়ে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে পার্কে চলে যায় । তখন বাপ মায়ের গায়ে অপমান লাগে না ?
আচ্ছা বলুন তো দেখি ,অরিত্রীর মতো এরকম প্রচুর মেয়ে স্কুল ফাকি দিয়ে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে পার্কে চলে যায় । তখন বাপ মায়ের গায়ে অপমান লাগে না ?
হাতে স্মার্ট ফোন দিয়ে রেখেছেন । সেই ছেলে / মেয়ে স্মার্ট ফোন নিয়ে কি করছে তার খবর নাই ।
এক জোড়া জুতোয় তার চলে না ।
মাসে দুই সেট জামা না কিনলে হয় না ।
বারবিকিউ না করলে বাসায় এসে ভাত খেতে পারে না ।
মাসে দুই সেট জামা না কিনলে হয় না ।
বারবিকিউ না করলে বাসায় এসে ভাত খেতে পারে না ।
বাপ মা এইসব দেখে না ?
শুধু সস্তা আবেগের দোহাই দিয়ে ঝুলে পড়লেই হলো ? কি গ্যারান্টি আছে এই ছেলে মেয়েগুলো এডমিশন টেস্টের সময় জালিয়াতি করবে না ? তারা তো ট্রেনিং পাচ্ছে স্কুল থেকেই । সেটা ধরিয়ে দিলেও অপরাধ ?
শুধু সস্তা আবেগের দোহাই দিয়ে ঝুলে পড়লেই হলো ? কি গ্যারান্টি আছে এই ছেলে মেয়েগুলো এডমিশন টেস্টের সময় জালিয়াতি করবে না ? তারা তো ট্রেনিং পাচ্ছে স্কুল থেকেই । সেটা ধরিয়ে দিলেও অপরাধ ?
আজকাল কিছু সিরিয়াল দেখে আত্মহত্যা করা একটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে । কতো বড় ভুলের মধ্যে যে আমরা আছি সেটা কি বুঝবো ?
ইউটিউবকে অক্সিজেন মনে করা এই জেনারেশনের কিছু ছেলেমেয়ে প্রাইমারী পাশ করার পর থেকেই সেলেব্রেটি ভাব নিয়ে চলার চেষ্টা করে । স্কুল ড্রেস হবে টাইট ফর্মাল । পায়ে অক্সফোর্ড জুতোর বদলে লোফার , চুল ছোট করে রাখার বদলে ভয়ঙ্কর ধরনের ডার্টি স্টাইল ।
স্কুলে যাওয়ার বদলে ডেট করা ।
পার্টি করে পিক আপলোড না দিলে ভাত হজম না হওয়া এই জেনারেশনের ভুলটা কি কেউ ভাঙতে পারবে ?
পার্টি করে পিক আপলোড না দিলে ভাত হজম না হওয়া এই জেনারেশনের ভুলটা কি কেউ ভাঙতে পারবে ?
এই ভুল কি অরিত্রীর বাবা মা ধরতে পেরেছে ? আদৌ পারবে কি ?
লেখাঃ-Arafat Abdullah
Post a Comment