পিছিয়ে পড়ার মানেই, নিঃশেষ
হয়ে যাওয়া নয়। প্রিয়জন ছেড়ে
যাওয়ার মানেই, বেঁচে থাকাটা
মূল্যহীন হয়ে যাওয়া নয়। এক দরজা
থেকে ফিরিয়ে দেয়ার মানেই,
সব দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া নয়। কারণ,
জীবনের খেলায় কেউ দু-চার
দিনে অল-আউট হয় না। লাইফের
টিভি সিরিয়াল, আট-দশটা
এপিসোড হয়েই বন্ধ হয়ে যায় না।
এক সাবজেক্ট বা এক সেমিস্টারের
রেজাল্ট দিয়ে অনার্স-মাস্টার্সের
ওভারঅল সিজিপিএ
নির্ধারিত হয় না।
আপনার ব্যর্থতার মানে,
ভুল শুধরানোর সুযোগ। আপনার
পিছিয়ে পড়ার মানে, স্কিল
ডেভোলপ করতে উদ্বুদ্ধ করা।
তোমাকে ধোঁকা দেয়ার মানে,
বিকল্প উপায়ে চেষ্টা করার
তাগিদ দেয়া। পরীক্ষায় বাম্বু
খাওয়ার মানে, পড়ালেখার
ব্যাপারে সিরিয়াস হতে সতর্ক
করে দেয়া। চাকরির
ইন্টারভিউতে রিজেক্ট হওয়ার
মানে, পরের ইন্টারভিউর জন্য ১০গুন
ভালো প্রিপারেশন নিতে
ইঙ্গিত দেয়া।
জীবনে ধোঁকা খাওয়া, বোকা
হওয়া- সমস্যা না। পরীক্ষার লাড্ডু
পাওয়া, ছ্যাঁকা খাওয়াও- সমস্যা
না। সমস্যা হচ্ছে- সাময়িক ব্যর্থতা
দেখে দমে যাওয়া। আশানুরূপ ফল
না দেখে, রাস্তা ছেড়ে
দেওয়া। ক্লান্ত হয়ে লক্ষ্য ভুলে
যাওয়া। দৌড়ে যে প্রথম হচ্ছে
তার সাথে নিজেকে তুলনা করে
হতাশ হবেন না। বরং আপনি দৌড়ে
২০তম হইলে আপনার কম্পিটিশন হবে
১৯তম এর সাথে। তাকে পিছনে
ফেলাতে পারলে ১৮তম এর সাথে
টেক্কা দিবেন। এইভাবে এক এক
করে সামনে এগুতে পারলে, যখন
প্রথম তিন-চার জনে আসবে তখন ১ম
জনের সাথে নিজেকে তুলনা
করবেন। আপনার বাসায়, পকেটের
টাকায়, মনের জানালায়
হাজারটা সমস্যা থাকতে পারে।
রাতের গরমে, ছারপোকার কামড়ে
আপনার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে
পারে। আপনার বন্ধুদের
প্রেমিকাসহ ফুচকা খাওয়ার ছবি
দেখে আপনার অন্তর হাহাকার
করে উঠতে পারে। তবে আজকের
দিনটা চলে গেলে,
ক্যালেন্ডারের পাতাটা উল্টে
গেলে, পাওয়া-না পাওয়ার
হিসেব কিন্তু লেখা হয়ে যাবে।
জীবন বেশি উপভোগ করতে গিয়ে,
অনুশোচনা করবেন। এক্সট্রা মজা
নিতে গিয়ে, এক্সট্রা সাজা
জুটিয়ে ফেলেন না। আনন্দ আর
ইফোর্ট এর মধ্যে ব্যালেন্স রাখেন।
একদিন রিলাক্স করে, আড্ডা
মেরে, ছয়দিন ফুল স্পিডে কাজ
করার এনার্জি সঞ্চয় করেন। লেগে
থাকেন। দেখবেন শত শত লাথি
উষ্ঠা খেয়েও ঠিকই ঘুরে দাড়িয়ে
গেছেন। একবার যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারেন তবে পৃথিবীর
কোন শক্তি আপনাকে দমাতে পারবে না।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post a Comment