স্বপ্ন

<div align="left"> <div dir="ltr"> "শিক্ষা পরিবারের প্রধান মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, উপস্থিত সুধিমণ্ডলী এবং ছাত্রছাত্রী বন্ধুরা, আমার মতো একজন অযোগ্য মানুষকে সমাবর্তন বক্তা বানানো হয়েছে। (আমি আরেকটু জোরে করতালি প্রত্যাশা করেছিলাম, অন্তত এটুকুর সমর্থন আসুক!) তো এ থেকেই বোঝা যায় দেশে এ ধরনের সমাবর্তন বক্তার কী পরিমাণে বিলুপ্তি ঘটেছে। মিষ্টি রসওয়ালা আখের পরিবর্তে, আখগাছের পরিবর্তে এখন ভেরেন্ডাগাছ দিয়েই মোটামুটি কাজ চলছে। আমাদের গ্রামের দিকে আগে একটা প্রবাদ ছিল। মাঝে মাঝে বড় বড় দুর্ভিক্ষ হতো। তখন বাঘ আর ছাগলের অবস্থা প্রায় এক হয়ে যেত। তো সেই প্রবাদটা এ রকম—দেশে কি আইলো আকাল, ছাগলে চাটে বাঘের গাল। এখন আমরা ছাগলেরা সমাবর্তন বক্তার গাল চাটছি বসে বসে।<br /> </div> </div> <div align="left"> <div dir="ltr"> .<br /> </div> </div> <div align="left"> <div dir="ltr"> সবাইকে শুভেচ্ছা। পুরান ঢাকায় একটা জোক আছে শুনেছিলাম। একদিন এক চোর ঢুকেছে চুরি করার জন্য এক বাড়িতে। ঢোকার পরে খুচখাচ খুচখাচ শব্দ করছে। ঘরের লোকেরা জেগে আছে। চোর আর পালানোর জায়গা পায়নি। গিয়ে ঢুকেছে চৌকির নিচে। একদম শেষ প্রান্তে চলে গেছে। এখন ওটাকে বের করে কী করে। হাত ঢুকিয়ে দিলে কামড়ে দিতে পারে। কী করা যায়? শেষ পর্যন্ত ঠিক হলো যে মশারির যে স্ট্যান্ড আছে, ওই স্ট্যান্ড দিয়ে খোঁচালে চোর হয়তো বেরোবে। সেই অনুযায়ী স্ট্যান্ড দিয়ে খোঁচানো শুরু হয়েছে। তো দুই-চার খোঁচা খাওয়ার পরেই চোর বলছে, ‘আস্তে খোঁচাইয়েন, চোখে লাগবার পারে। চোখ লইয়া ডং নিহি?’ মানুষের যেমন চোখ নিয়ে ঢং করা যায় না। একটা জাতির শিক্ষা নিয়েও তেমনি ঢং করা যায় না।<br /> </div> </div> <div dir="ltr"> .<br /> </div> <div align="left"> <div dir="ltr"> পিথাগোরাসের সম্প্রদায়ের লোকেরা বলতেন, সব জিনিসই আসলে সংখ্যা। আমার বক্তব্য...আমি খুব ক্ষুদ্র মানুষ, বক্তব্য নয় এটা, কেবল ফিসফিস কথা—সব জিনিসই আসলই জ্ঞান। আসলে শিক্ষা। এই যে আজকে অ্যারোপ্লেন উড়ছে আকাশে, এই যে রেলগাড়ি চলছে, এই যে আমরা চাঁদে গেছি, এই যে মানুষের বিস্ময়কর সাফল্য, এই যে চিকিৎসাব্যবস্থার অবিশ্বাস্য উন্নতি, এই যে কৃষির আশ্চর্য প্রসার, এই যে অদ্ভুত শিল্পায়ন, এই যে মানবসভ্যতার বিকাশ, ধর্ম-দর্শন-বিজ্ঞান-শিল্পসাহিত্য সবকিছু—এগুলো আসলে কী? এগুলো আসলে তো সবই আমাদের শিক্ষার মাধ্যমে পাওয়া। সুতরাং মানবসভ্যতাটাই একটা শিক্ষার মাধ্যমে পাওয়া, শিক্ষা দিয়ে তৈরি। শিক্ষার মান যত দিন আছে, এই সভ্যতা তত দিন আছে। যেদিন থাকবে না, সেদিন থাকবে না। মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতিতে শিক্ষার একটা বিরাট অবদান।<br /> </div> </div> <div dir="ltr"> .<br /> </div> <div align="left"> <div dir="ltr"> আমি বোধ হয় ২০০৩ বা ২০০৪ সালে তখন আমেরিকাতে ছিলাম। ওখানে কাগজে খুব ফলাও করে উঠল যে সেই বছরের যে সম্পদ উৎপাদন করেছে আমেরিকা, সেই সম্পদের ৮৭ ভাগ বিদ্যাজাত। বিদ্যা থেকে আসা। তাহলে বোঝা যায় যে বর্তমান পৃথিবীর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কতখানি অবদান রাখে শিক্ষা। আমি তো মনে করি আমাদের দেশে এত সব চেষ্টা না করে সমস্ত মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কমিয়ে দশ পারসেন্টে নিয়ে এসে যদি শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ নব্বই ভাগ করা হতো এবং এটা যদি ১০ বছর চলতে দেওয়া হতো তাহলে যে বাংলাদেশকে আমরা পেতাম সে বাংলাদেশকে পেতে আমাদের আরও ৪০ বছর লাগবে। সুতরাং শিক্ষা খুব বড় জিনিস। পৃথিবীর যা কিছু বড় যা কিছু মহান যা কিছু শ্রেষ্ঠ, এটা শিক্ষা থেকে আসা। শুধু শিক্ষা থেকে না, শিক্ষার জন্য যে মনটা দরকার সেই মনটা থেকেও আসা।<br /> </div> </div> <div dir="ltr"> .<br /> </div> <div align="left"> <div dir="ltr"> শিক্ষা শুধু অর্থনৈতিক বা বৃত্তিক বিকাশেই অবদান রাখেনি, শিক্ষা মহান জিনিসে অবদান রেখেছে। কী দিয়ে? নিমগ্নতা দিয়ে, নিবিষ্টতা দিয়ে, সাধনা দিয়ে, মানুষের প্রয়াস দিয়ে, মানুষের সংগ্রাম দিয়ে। আজকে কি সেই অবস্থার মধ্যে আমরা আছি? শিক্ষা কি সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে? আমার তো মনে হয় শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা পৃথিবীতে শিক্ষাক্ষেত্রে একটা ধস আমরা দেখতে পাচ্ছি। বড় জিনিস থেকে মানুষ ক্রমাগতভাবে সরে যাচ্ছে। এর একটা কারণ হতে পারে—আমরা ইতিমধ্যে একটা ভিন্নযুগে পদার্পণ করেছি। একটা ভিন্ন কাল, একটা অস্থির সময়। একটা ঊর্ধ্বশ্বাস সময়। একটা প্রতিযোগিতামূলক সময়। একটা উত্তেজনাপূর্ণ সময়। এই উত্তেজনা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘উত্তেজনা এবং শক্তি এক নহে। ইহারা পরস্পরবিরোধী।’ কারণ উত্তেজিত মুহূর্তে আমরা সবচেয়ে শক্তিহীন। কারণ উত্তেজিত মুহূর্তে আমাদের মেধা কাজ করে না। আমাদের ইন্দ্রিয় গতিশীল, চঞ্চল, অস্থির। হৃদয় আজ এক রকম আছে, কাল আরেক রকম। কিন্তু মানুষের মনন চিরকাল একরকম, এটা স্থির। এই দুইয়ের একটা সমন্বয় আমাদের চাই। এখন একটা উত্তেজনায় আমরা ছুটছি। প্রতিযোগিতায় আমরা ছুটছি। রাস্তার দিকে যখন তাকাই, একটা গাড়ি আরেকটা গাড়িকে ওভারটেক করার চেষ্টা করছে পাগলের মতো। এটা কি একটা গাড়ি আরেকটা গাড়িকে ওভারটেক করার চেষ্টা করছে? না একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে ওভারটেক করার চেষ্টা করছে? পৃথিবীতে যখন বিত্তের বিশাল বিকাশ শুরু হলো, তখন এই বিত্ত পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে একটা উত্তেজনার জগতে চলে গেল। যা কিছু গভীর, যা কিছু বড়, যা কিছু স্থায়ী, তাকে অবজ্ঞা করছি। কিন্তু আমার মনে হয়, অ্যারোপ্লেনের যেমন দুই পাখা থাকে, আমাদের যেমন দুই পা থাকে, এক পা থাকলে আমরা হয়তো নাচতে পারব, দুই-তিন মিনিট এক মিনিটের জন্য, কিন্তু এক পা দিয়ে কোনো দিন হাঁটতে পারব না। তেমনি দুটোকে মেলাতে হবে। বড় জিনিসকেও আমাদের ধারণ করতে হবে। কিন্তু ব্যাপারটা কঠিন। কারণ বড় জিনিসকে ধারণ করতে হলে শুধু ছুটলে চলে না। উত্তেজনায় উন্মাদ হলে চলে না। থামতে হয়। থামা মানে কী? থামা মানে প্রত্যাখ্যান। থামা মানে আমি যেটা পেতে পারতাম, আমি সেটা নিচ্ছি না। থামা মানে হচ্ছে গাছের মতো দাঁড়ানো, যে রকমভাবে দাঁড়ালে ওই গাছ একদিন ফুলে-ফলে সবকিছুতে ভরে ওঠে।<br /> </div> </div> <div dir="ltr"> .<br /> </div> <div align="left"> <div dir="ltr"> আমি একটা ছোট্ট গল্প দিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করি। আমার শারীরিক, মানসিক অবস্থা কোনোটাই আজকে ঠিক কথা বলার উপযোগী ছিল না। তবুও কথা বলে গেছি কিছুটা। একটা গ্রিক উপকথা। আপনারা অনেকে হয়তো পড়েছেন। একটা খুবই সুন্দরী মেয়ে ছিল। দাফনি। অবিশ্বাস্য সুন্দরী। উপকথাতে তা-ই হয়। উপকথাতে কোনো খারাপ চেহারার মানুষ কখনো দেখা যায় না। কারণ উপকথার মধ্যে মানুষ তার স্বপ্নের পৃথিবীকে তৈরি করতে চায়। সেই স্বপ্নের পৃথিবী কুৎসিত হতে পারে না। তো সেই উপকথায় একটা নদী আছে। দাফনি হলো সেই নদীর রাজার মেয়ে। নদীর পাশে একটা বিশাল জঙ্গল। বিশাল অরণ্য। সেই অরণ্যে সে একা একা ঘুরে বেড়ায়। সেখানে যত সুদর্শন যুবককে দেখে, তাদের সঙ্গে সে প্রেমের অভিনয় করে। সেই যুবক যখন সম্পূর্ণভাবে তার প্রেমে মত্ত হয়ে ওঠে, তখন সে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে একটা পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করে। এ রকমভাবে তার দিন কাটছে। সে থামে না। একজন শেষ হলে আরেকজনের কাছে যায়, আরেকজন শেষ হলে আরেকজনের কাছে যায়।<br /> </div> </div> <div dir="ltr"> .<br /> </div> <div align="left"> <div dir="ltr"> এমন সময় হলো কী, সে চোখে পড়ে গেল অ্যাপোলো দেবতার। অ্যাপোলো দেবতা তাকে দেখেই তার প্রেমে মুগ্ধ হয়ে গেল। মানুষই যখন মুগ্ধ, দেবতা তো আরও অনুভূতিশীল, তাই না? তার তো অবস্থা আরও করুণ! সে বলল, ‘দাফনি তুমি দাঁড়াও।’ দাফনি বুঝল যে এ দেবতা, একে সে এড়িয়ে যেতে পারবে না। তখন সে দৌড়াতে লাগল, তার হাত থেকে পালানোর জন্য। সেও দৌড়াচ্ছে, অ্যাপোলোও দৌড়াচ্ছে। কিন্তু অ্যাপোলোর সঙ্গে দৌড়ে তো তার পারার কথা নয়। অ্যাপোলো ক্রমে কাছে চলে এল। একসময় দাফনি টের পেল যে তার পেছনে অ্যাপোলোর ঘন ঘন নিশ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে।<br /> </div> </div> <div dir="ltr"> .<br /> </div> <div align="left"> <div dir="ltr"> এমন সময় একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। অরণ্য শেষ হয়ে গেল এবং দেখল যে সামনে সেই নদী। তখন দাফনি চিৎকার করে উঠল, ‘বাবা আমাকে বাঁচাও।’ তখন দেখা গেল যে আস্তে আস্তে দাফনির পা মাটির মধ্যে গেড়ে গেল এবং পায়ের আঙুলগুলো শিকড়ের মতো হয়ে মাটির নিচে ছড়িয়ে গেল। তার হাতগুলো ডালের মতো হয়ে, আঙুলগুলো পাতার মতো হয়ে সমস্ত অবয়বটা গাছে পরিণত হলো। সে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকল। তখন অ্যাপোলো বলল, দাফনি, তুমি এত দিন অস্থির ছিলে। এত দিন তুমি শুধু ছুটেছ। কাউকে তুমি দাওনি কিছুই। কারণ তোমার নিজেরও কিছু ছিল না। তুমি ছিলে একটা ঊর্ধ্বগতিসম্পন্ন মানুষ। কিন্তু আজকে দেখো, তুমি দাঁড়িয়েছ। এই জন্য তুমি আজকে একটা বৃক্ষে পরিণত হয়েছ। এই জন্য দেখো আজ তোমার কত ডাল, কত পাতা এবং কত ফুল। আমি তোমাকে আশীর্বাদ করছি, বর দিচ্ছি, তুমি যেহেতু দাঁড়াতে পেরেছ, সুতরাং আজ থেকে এই গ্রিসের সমস্ত বীরদের মাথার মুকুট তোমার এই পাতা দিয়ে তৈরি হবে। দাফনি কী গাছ হয়ে গিয়েছিল? অলিভ। অলিভ গাছের পাতা দিয়ে মুকুট তৈরি হয়। গ্রিসে যত প্রেমিক-প্রেমিকা আছে, তারা তোমার ফুলের দ্বারা তাদের ভালোবাসা পরস্পরকে জানাবে।<br /> </div> </div> <div dir="ltr"> .<br /> </div> <div align="left"> <div dir="ltr"> ছাত্রছাত্রীদের জন্য আমারও একটাই কথা—থামো। দৌড়াও, কিন্তু থামতে শেখো। দাঁড়াতে শেখো। গাছ হতে শেখো। গাছের মতো সমুন্নত, গাছের মতো পোশাক-আবহ, গাছের মতো পাতায় ভরা, ফুলে ভরা, সৌন্দর্যে ভরা। তাহলে এই পৃথিবীতে সত্যিকারভাবে কিছু দিতে পারবে। তা না হলে হাততালি এবং শিস দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না। ধন্যবাদ"<br /> #আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ<br /> </div> </div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgiWZf72oiTGdhWGDZt_ETY3OxNeHfd-RqOQMNkHs9rqXWI5QV37dTeA3S6bfUaZar03WwJ0Vo9TPfF9-7_Tkf4o41BnZgiGQGmrQmGljANurkgkLhbD0Pm_E0y8m6aMeZizoHHRAcy8ujx/s1600/r1.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="305" data-original-width="530" height="184" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgiWZf72oiTGdhWGDZt_ETY3OxNeHfd-RqOQMNkHs9rqXWI5QV37dTeA3S6bfUaZar03WwJ0Vo9TPfF9-7_Tkf4o41BnZgiGQGmrQmGljANurkgkLhbD0Pm_E0y8m6aMeZizoHHRAcy8ujx/s320/r1.jpg" width="320" /></a></div> <div dir="ltr"> <br /> </div>

স্বপ্ন

"শিক্ষা পরিবারের প্রধান মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, উপস্থিত সুধিমণ্ডলী এবং ছাত্রছাত্রী বন্ধুরা, আমার মতো একজন অযোগ্য মানুষকে সমাবর্তন বক্তা...

Read more »

খারাপ সময়ের অনুপ্রেরণা

<p dir="ltr">খারাপ একটা সময় প্রায় সবার জীবনেই আসে। কখনো ভাগ্যদোষে, কখনো নিজের দোষে। বলতে গেলে, জীবনের কোন না কোন স্তরে এমন একটা সময় মানুষ অতিক্রম করেই থাকে। এই দুঃসময়ে কেউ ভেঙে পড়ে, কেউবা মনোবল শক্ত রেখে এটা থেকে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে। তবে খারাপ সময় অতিবাহিত করা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই একটা সুপ্ত চাওয়া কাজ করে। মনে মনে ভাবে, প্রত্যাশায় থাকে; তার অতি আপন মানুষগুলো তার সংস্পর্শে থাকুক। তাকে সঙ্গ দিক, পরামর্শ দিক, সান্ত্বনা দিক। বুকের মধ্যে তাকে আগলে রাখুক, একেবারে তার আষ্টেপৃষ্ঠে লেগে থাকুক।<br> .<br> দুঃসময়ের কবলে পড়লে কেউ-ই আসলে ওভাবে কাউকে কাছে পায় না। অতি আপন মানুষগুলো পাশে এসে দাঁড়ায় না। নিজের একআধটু সময় ব্যয় করে আপন ভাবতে থাকা মানুষগুলো সঙ্গ<br> দেয় না। বরং এই মানুষগুলো ক্ষেত্রবিশেষে উল্টো বদনাম করে, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, অবহেলা করে। এক পা, দুই পা করে ধীরে ধীরে দূরে সরে যায়। তাদের ছায়াও খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ পাশে না আসা মানুষটি, দূরে সরে যাওয়া মানুষটির পাশে দিনের পর দিন কতই না থাকা হয়েছে। কতই না তাকে সঙ্গ দেয়া হয়েছে। অতি আপন মানুষ মনে করে তাকে কতই না আগলে রাখা হয়েছে। তার সামান্য কষ্টও সহ্য হত না। তার চোখে জল আসার আগেই নিজের চোখে জল এসে পড়ত। তার কোন একটা দুঃসংবাদ শোনামাত্রই বুকটা ভয়াবহরকম কেঁপে ওঠত।<br> .<br> জীবনে খারাপ সময় এসেছে বা আসবে। আলো-আঁধারের মাঝেই জীবনের পথচলা। এই পথচলায় প্রত্যেকটি মানুষই স্বতন্ত্র। এখানে কেউ-ই কারো নয়, কেউ-ই কারো সঙ্গি হয় না, কেউ-ই কারো পাশে এসে দাঁড়ায় না—এটাই অপ্রিয় সত্য। যদিও এমনটি হওয়া উচিত নয়, এমনটি হওয়ার কথা নয়। একজনের দুঃসময়ে অন্যজন পাশে এসে দাঁড়াবে, অনুপ্রেরণা দেবে, সাহস দেবে এটাই মানুষের বৈশিষ্ট্য হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই বৈশিষ্ট্যের আলোকে মানুষ চলে না। স্বার্থপর মানুষগুলো এসবের ধার ধারে না। তাই নিজেই নিজের পথপ্রদর্শক হতে হয়। নিজে নিজেই ঘুরে দাঁড়াতে হয়। অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লে মানসিক দৈন্যতা দেখা দেয়, সামনের পথচলা থমকে যায়। সুন্দর একটা ভবিষ্যত অন্ধকারে তলিয়ে যায়।<br> .<br> বাসা-বাড়িতে আগুনের কবলে পড়লেও তুমি বরং অনেকের সহযোগিতা পাবে, অনুকম্পা পাবে। তোমাকে উদ্ধারের জন্যও অনেকগুলো ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিবেশীরা ছুটে আসবে, পথচারী<br> মানুষগুলো আসবে, ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা আসবে। সবার প্রাণান্ত চেষ্টা থাকবে তোমাকে উদ্ধার করার জন্য, প্রাণে বাঁচানোর জন্য। তোমার জন্য আগুনজ্বলা ভবনের নির্ধারিত সিঁড়ি থাকবে, বিকল্প সিঁড়ি থাকবে, ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সৃষ্ট সিঁড়ি থাকবে। কিন্তু ব্যক্তিগত-পারিবারিক জীবনের কষ্ট, মানসিক কষ্ট, কাউকে হারানোর কষ্টে তুমি পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেলেও কেউ ছুটে আসবে না। কেউ-ই না। তোমার সেই খারাপ সময়ে, তোমার সেই দুঃসময়ে তুমিই তোমার ত্রাণকর্তা। তোমাকেই তোমার উদ্ধার করতে হবে। কোন তথাকথিত আপন মানুষের জন্য অপেক্ষায় থাকা যাবে না, কারো ওপর নির্ভর করা যাবে না। একদমই না।</p>

খারাপ সময়ের অনুপ্রেরণা

খারাপ একটা সময় প্রায় সবার জীবনেই আসে। কখনো ভাগ্যদোষে, কখনো নিজের দোষে। বলতে গেলে, জীবনের কোন না কোন স্তরে এমন একটা সময় মানুষ অতিক্রম করেই থা...

Read more »

প্রবাদ বাক্য (একশ)

<p dir="ltr"><br> ০১. ঘষতে ঘষতে পাথরও ক্ষয় হয়।<br> = Constant dripping wears out the stone.<br> ০২. আপন গায়ে কুকুর রাজা।<br> = Every dog is a lion at home.<br> ০৩. ডোল ভরা আশা আর কুলো ভরা ছাই।<br> = Extravagant hopes lead to complete disappointment.<br> ০৪. নিজের পায়ে কুড়াল মারা ।<br> = To dig one’s own grave.<br> ০৫. উঠন্ত মুলো পত্তনে চেনা যায় ।<br> = Morning shows the day.<br> ০৬. উলুবনে মুক্তো ছড়ানো ।<br> = Pearls before swine.<br> ০৭. উৎপাতের কড়ি চিৎপাতে যায়।<br> = Ill got, ill spent.<br> ০৮. একবার না পারিলে দেখ শতবার ।<br> = If at first try you don’t succeed, try, try again!<br> ০৯. কত হাতি গেল তল, মশা বলে কত জল ।<br> = Fools rush in where angels fear to tread.<br> ১০. কম পানির মাছ বেশ পানিতে উঠলে ও মাছে বেশ লাফালাফি করে ।<br> = Being unnecessarily flashy is pointless<br> ১১. কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা ।<br> = Using a thorn to remove a thorn.<br> ১২. কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে ।<br> = To add insult to injury.<br> ১৩. কানা গরুর ভিন্ন পথ ।<br> = The fool strays from the safe path.<br> ১৪. কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ ।<br> = One’s harvest month, is another’s complete devastation.<br> ১৫. বিপদ কখনও একা আসে না।<br> = Misfortune never comes alon.<br> ১৬. আয়ের অধিক ব্যয় করো না।<br> = Do not live above your means.<br> ১৭. কিনতে পাগল বেচতে ছাগল<br> = Necessity never makes a bargain.<br> ১৮. কুকুরের পেটে ঘি মজে না।<br> = Habit is the second nature.<br> ১৯. কুমিরের সঙ্গে বিবাদ করে জলে বাস<br> = It is hard to sit at Rome and strike with the Pope.<br> ২০. যার কোন গুণ নাই তার কপালে আগুন<br> = It is a pity, he is good for nothing.<br> ২১. গাইতে গাইতে গায়েন<br> = Practice makes a man perfect.<br> ২২. ঘরে পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়<br> = A burnt child dreads the fire.<br> ২৩. গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না<br> = A prophet is not honoured in his own country.<br> ২৪. অধীনতা অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়<br> = Even death is preferable to bondage.<br> ২৫. সে হাড়ে হাড়ে দুষ্ট<br> = He is wicked to the backbone.<br> ২৬. ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই<br> = Brothers will part.<br> ২৭. ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখ নি।<br> = You must not see things with half an eye.<br> ২৮. চেনা বামুনের পৈতার দরকার হয় না।<br> = Good wine needs no bush.<br> ২৯. চোখের আড়াল হলেই মনের আড়াল হয়।<br> = Out of sight, out of mind.<br> ৩০. চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে।<br> = To lock the stable when the mare is stolen.<br> ৩১. চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী।<br> = The devil would not listen to the scriptures.<br> ৩২. চোরে চোরে মাসতুত ভাই।<br> = Birds of a feather flock together.<br> ৩৩. টাকায় টাকা আনে।<br> = Money begets money.<br> ৩৪. ঠাকুর ঘরে কেরে, অামি কলা খাই না।<br> = A guilty mind is always suspicious.<br> ৩৫. গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।<br> = To count one’s chickens before they are hatched.<br> ৩৬. মরা হাতি লাখ টাকা।<br> = The very ruins of greatness are great.<br> ৩৭. জলে কুমির ডাঙায় বাঘ।<br> = Between the devil and the deep sea.<br> ৩৮. মশা মারতে কামান দাগা।<br> = To break a butterfly on a wheel.<br> ৩৯. দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পোষা।<br> = To cherish a serpent in one’s bossom.<br> ৪০. এক মাঘে শীত যায় না<br> = One swallow does not make a summer.<br> ৪১. এক হাতে তালি বাজে না<br> = It takes two to make a quarrel.<br> ৪২. ওস্তাদের মার শেষ রাতে<br> = All’s well that ends well.<br> ৪৩. কর্জ নাই, কষ্ট নাই<br> = Out of debt, out of danger.<br> ৪৪. কত ধানে কত চাল বুঝবে<br> = you will know now what’s what.<br> ৪৫. কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে ট্যাশ ট্যাশ<br> = To strike the iron while it is hot.<br> ৪৬. কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ<br> = What is sport to the cat is death to the rat.<br> ৪৭. কান টানলে মাথা আসে<br> = Given the one, the other will follow.<br> ৪৮. অতি চালাকের গলায় দড়ি<br> = Too much cunning over reaches itself.<br> ৪৯. অতি লোভে তাতি নষ্ট<br> = Grasp all,lose all.<br> ৫০. ভাবিয়া করিও কাজ<br> = Look before you leap<br> ৫১. অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট<br> = Too many cooks spoil the broth<br> ৫২. অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ<br> = Too much courtesy, too much craft.<br> ৫৩. অভাবে স্বভাব নষ্ট<br> = Necessity knows no law<br> ৫৪. অতি দর্পে হত লংকা।<br> = Pride goes before its fall.<br> ৫৫. আপনি বাঁচলে বাপের নাম<br> = Self preservation is the first law of nature.<br> ৫৬. অহিংসা পরম ধর্ম<br> = Non-violence is a supreme virtue<br> ৫৭. অসারের তর্জন গর্জনই সার<br> = Empty vessels sound much.<br> ৫৮. আয় বুঝে ব্যয় কর<br> = Cut your coat according to your cloth.<br> ৫৯. আসলের চেয়ে সুদ মিষ্টি<br> = Interest is sweeter than principal.<br> ৬০. যেমন কর্ম তেমন ফল।<br> = As you sow, so you reap.<br> ৬১. সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।<br> = Honesty is the best policy.<br> ৬২. সব ভাল তার শেষ ভাল যার।<br> = All’s well that ends well.<br> ৬৩. দশের লার্ঠি একের বোঝা।<br> = Many a little makes a mickle.<br> ৬৪. বিপদ কখনো একা আসে না।<br> = Misfortune never comes alone.<br> ৬৫. নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।<br> = Something is better than nothing.<br> ৬৬. মানুষ মাত্রই ভুল করে।<br> = To err is human.<br> ৬৭. সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।<br> = A stitch in time save nine.<br> ৬৮. নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা।<br> = A bad workman quarrels with his tools.<br> ৬৯. উঠন্ত মুলো পত্তনেই চেনা যায়।<br> = Morning shows the day.<br> ৭০. ভিক্ষার চাল কাঁড়া আকাঁড়া।<br> = Beggars must not be choosers.<br> ৭১. ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।<br> = Tit for tat.<br> ৭২. মন্ত্রের সাধন কিংব শরীর পতন।<br> = Do or die.<br> ৭৩. বাপ কা বেট।<br> = Like father, like son.<br> ৭৪. নানা মুনির না পথ।<br> = Many men, many minds.<br> ৭৫ প্রয়োজনই আবিষ্কারের প্রসূতি।<br> = Necessity is the mother of invention.<br> ৭৬. যত গর্জে তত বর্ষে না।<br> = Barking dogs seldom bite.<br> ৭৭. যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ।<br> = While there is life there is hope.<br> ৭৮. এক মাঘে শীত যায় না।<br> = One swallow doesn’t make a summer.<br> ৭৯. টাকায় টাকা আনে।<br> = Money begets money<br> ৮০. চকচক করলেই সোনা হয় না।<br> = All that glitters is not gold.<br> ৮১. জোর যার মুলুক তার।<br> = Might is right<br> ৮২. ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।<br> = Where there is a will, there is a way.<br> ৮৩. চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।<br> = Birds of the same feather flock together.<br> ৮৪. গাছ তার ফলে পরিচয়।<br> = A tree is known by its fruits.<br> ৮৫. চাচা আপন প্রাণ বাঁচা।<br> = Every one for himself.<br> ৮৬. আয় বুঝে ব্যয় কর।<br> = Cut your coat according to your cloth.<br> ৮৭. জ্ঞানই শক্তি।<br> = Knowledge is power.<br> ৮৮. একতাই বল।<br> = Unity is strength.<br> ৮৯. অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী।<br> = A little learning is a dangerous thing.<br> ৯০. অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু।<br> = A friend in need is a friend indeed.<br> ৯১. একতায় উত্থান, বিভেদে পতন।<br> = United we stand, divided we fail.<br> ৯২. অপচয় করো না, অভাবও হবে না।<br> = Waste not, want not.<br> ৯৩. অসারের তর্জন গর্জন স্যার।<br> = Empty vessel sounds much.<br> ৯৪. আপন চরকায় তেল দাও।<br> = Oil your own machine.<br> ৯৫. কষ্ট বিনা কেষ্ট মেলে না।<br> = No pains, no gains.<br> ৯৬. কয়লা ধূলে ময়লা যায় না।<br> = Black will take no other hue.<br> ৯৭. আপন ভাল তো জগত ভালো।<br> = To the pure all things are pure.<br> ৯৮. উপদেশের চেয়ে দৃষ্টান্ত ভালো।<br> = Example is better than precept.<br> ৯৯. এক হাতে তালি বাজে না।<br> = It takes two to make quarrel.<br> ১০০. উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে।<br> = One doth the scathe, another hath the scorn.</p>

প্রবাদ বাক্য (একশ)

০১. ঘষতে ঘষতে পাথরও ক্ষয় হয়। = Constant dripping wears out the stone. ০২. আপন গায়ে কুকুর রাজা। = Every dog is a lion at home. ০৩. ডোল ভ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ও ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক সাহিত্য ভিত্তিক সাহিত্যকর্ম BCS

<p dir="ltr"><br> মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসঃ<br> .<br> ১,রাইফেল রোটি আওরাত;আনোয়ার পাশা।<br> ২,জাহান্নাম হইতে বিধায়;শওকত ওসমান।<br> ৩,ওংকার;আহমদ ছফা।<br> ৪,হাঙ্গর নদী গ্রেনেড;সেলিনা হোসেন।<br> ৫,খাঁচায়;রশীদ হায়দার।<br> .<br> কবিতাঃ<br> ১,মুক্তিযোদ্ধা;জসীমউদদীন।<br> ২,দগ্ধগ্রাম;জসীমউদদীন।<br> ৩,বন্দী শিবির থেকে;শামসুর রহমান।<br> ৪,পুত্রদের প্রতি;আবুল হোসেন।<br> ৫,প্রথম শহীদ বাংলাদেশের মেয়ে;সুফিয়া কামাল।<br> .<br> নাটকঃ<br> ১,পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় - সৈয়দ শামসুল হক<br> ২,বকুলপুরের স্বাধীনতা;মমতাজ<br> উদদীন আহমদ।<br> ৩,নরকে লাল গোলাপ;আলাউদদীন আল আজাদ।<br> ৪,আয়নায় বন্ধুর মুখ;আবদুল্লাহ আল মামুন।<br> ৫,যে অরন্যে আলো নেই;নীলিমা ইব্রাহিম।<br> স্বাধীনতাপূর্ব ও পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ইঙ্গিতবাহী উপন্যাসঃ<br> ১,ক্রতিদাসের হাসি;১৯৬২;শওকত ওসমান।<br> ২,কিষাণ;১৯৬৯;ইন্দু সাহা।<br> ৩,রাঙ্গা প্রভাত;১৯৫৭;আবুল ফজল।<br> ৪,নীড় সন্ধানী;১৯৬৮;আনোয়ার পাশা।<br> ৫,বিদ্রোহী কৈবর্ত;১৯৬৯;সত্যেন সেন।<br> .<br> চলচ্চিত্রঃ<br> ১,ওরা ১১ জন;চাষী নজরুল ইসলাম।<br> ২,গেরিলা;নাসির উদ্দীন ইউসুফ।<br> ৩,লাল সবুজ;শহীদুল ইসলাম।<br> ৪,আমার দেশের মাটি;অনন্ত হীরা।<br> ৫,প্রত্যাবর্তন;মোস্তফা কামাল।<br> -<br> প্রামান্য চিত্রঃ<br> ১,দুঃসময়ের বন্ধু;শাহরিয়ার কবির।<br> ২,১৯৭১;তানভীর মোকাম্মেল।<br> ৩,স্টপ জেনোসাইড;জহির রায়হান।<br> ৪,মুক্তির গান;তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ।<br> ৫,লিবারেল ফাইটার্স;আলমগীর কবির।<br> .<br> ছোটগল্পঃ<br> ১,একাত্তরের যীশু;শাহরিয়ার কবির।<br> ২,জন্ম যদি তব বঙ্গে;শওকত ওসমান।<br> ৩,নামহীন গোত্রহীন;হাসান আজিজুল হক।<br> ৪,মিলির হাতে স্টেনগান;আখতারু<br> জ্জামান ইলিয়াস।<br> ৫,বীরাঙ্গনার প্রেম;বিপ্রদাস বড়ুয়া।<br> .<br> স্মৃতিকথাঃ<br> ১,আমি বিজয় দেখেছি;এম আর আখতার মুকুল।<br> ২,একাত্তরের দিনগুলি;জাহানারা ইমাম।<br> ৩,একাত্তরের ডায়েরী;সুফিয<br> ়া কামাল।<br> .<br> প্রবন্ধঃ<br> ১,A search for identity;মে.মো.আবদুল জলিল<br> ২,The liberation of Bangladesh;মে.<br> জে,সুখওয়ান্ত সিং।<br> ৩,একাত্তরে ঢাকা;সেলিনা হোসেন।<br> ৪,আমি বীরাঙ্গনা বলছি;ড.নীলিমা ইব্রাহিম।<br> বিদেশী ভাষার বইঃ<br> ১,The rape of Bangladesh;অ্যান্থনি মাসকারেনহাস।<br> ২,Legacy of Blood ;অ্যান্থনি মাসকারেনহাস।<br> ৩,The testimony of sixty;Oxfam<br> ৪,A search for identity;<br> ৫,The liberation of Bangladesh;<br> .<br> স্থাপত্যঃ<br> ১,জাতীয় স্মৃতিসৌধ;সাভার;সৈয়দ মইনুল হোসেন।<br> ২,বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ;মি<br> রপুর;মোস্তফা হারুন কুদ্দুস হিলি।<br> ৩,স্বোপার্জিত স্বাধীনতা;ঢাবি<br> ;শামীম শিকদার;<br> ৪,সংশপ্তক;জাবি.<br> ৫,অপরাজেয় বাংলা;ঢাবি;সৈয়দ আবদুল্লাহ খালেদ।<br> .<br> গানঃ<br> ১,মোরা একটি ফুলকে বাচাব;গোবিন্দ হালদার।<br> ২,জন্ম আমার ধন্য হল;নাঈম গহর।<br> ৩,জনতার সংগ্রাম চলবেই;সিকানদার আবু জাফর।<br> ৪,শুন একটি মুজিবুরের;গৌরিপ্রসন্ন মজুমদার।<br> ৫,নোঙ্গর তোল তোল;নাঈম গহর।<br> .<br> এবার ভাষা আন্দোলনভিত্তিকঃ<br> উপন্যাসঃ<br> ১,আরেক ফাল্গুন;জহির রায়হান।<br> ২,আর্তনাদ;শওকত ওসমান।<br> ৩,নিরন্তর ঘন্টাধ্বনি;সেলিনা হোসেন।<br> .<br> গল্প ও ছোটগল্পঃ<br> ১,একুশের গল্প;জহির রায়হান।<br> ২,মৌন নয়;শওকত ওসমান।<br> ৩,পণ্ডশ্রম;আবু ইসহাক।<br> .<br> নাটকঃ<br> ১,কবর ;মুনীর চৌধুরী।<br> সাহিত্য সংকলনঃ<br> ১,একুশে ফেব্রুয়ারি;হাসান হাফিজুর রহমান।<br> .<br> চলচ্চিত্রঃ<br> ১,জীবন থেকে নেয়া;জহির রায়হান।<br> ২,Let there be light;জহির রায়হান।<br> .<br> কবিতা ও ছড়াঃ<br> ১,কাঁদতে আসিনি,ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি;মাহবুব উল আলম চৌধুরী।<br> ২,শহীদ স্মরনে;মো.মনিরুজ্জামান।<br> ৩,সংগ্রাম চলবেই;সিকানদার আবু জাফর।<br> ৪,স্মৃতিস্তম্ভ;আলাউদ্দিন আল আজাদ।<br> ৫,একুশের কবিতা;আল মাহমুদ।<br> .<br> গানঃ<br> ১,আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো;আবদুল গাফফার চৌধুরী।<br> ২,বাংলা বিনে গতি নাই;আবদুল লতিফ।<br> ৩,ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়;আবদুল লতিফ।<br> ৪,জাগিছে প্রভাত;জসীমউদদীন।<br> এছাড়া ভাষা আন্দোলন নিয়ে চিত্রকল্প করেছেন,<br> শিল্পাচার্য জয়নুল,কামরুল হাসান,হামিদুজ্জামান সহ অনেকে।</p>

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ও ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক সাহিত্য ভিত্তিক সাহিত্যকর্ম BCS

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসঃ . ১,রাইফেল রোটি আওরাত;আনোয়ার পাশা। ২,জাহান্নাম হইতে বিধায়;শওকত ওসমান। ৩,ওংকার;আহমদ ছফা। ৪,হাঙ্গর নদী গ্র...

Read more »

"টেকনিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর মনে রাখুন খুব সহজে"

<p dir="ltr">...................................<br> ১) জেনেভা,সুইজারল্যান্ড:<br> ক) যে সংস্থার নাম প্রথমে I/W এবং শেষে U/R/Oআছে তাদের সদর দপ্তর এখানে।<br> যেমন: WHO, WTO, ILO, ISO, WIPO, IPU, ITU<br> খ) SARRC এবং CIRDAP ব্যতিত ‘R’ যুক্ত সকল সংস্থার দপ্তর এখানে।<br> যেমন: OHCHR, UNHCR, UNHRC, ICRM, UNITAR, UNRISD, RED CROSS.<br> গ) অন্যান্য: কোন সংস্থার নামের সাথে T এবং C যুক্ত থাকলে সদর দপ্তর এখানে।<br> যেমন: UNCTAD, ITC.<br> .<br> ২) ওয়াশিংটস ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র:<br> ‘I’ শুরু এবং A/B/C/D/E দিয়ে শেষ হলে সদর দপ্তর এখানে।<br> IMF, IFC, IDA, IDB, IBRD, ICSID ব্যাতিক্রম: MIGA, OAS.<br> .<br> ৩) নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র:<br> কোন সংস্থার নামের সাথে UN এর সাথে E/Fযুক্ত থাকলে সদর দপ্তর এখানে।<br> যেমন: UNIFEM.UNICEF, UNFPA<br> ব্যতিক্রম: UN,UNDP<br> .<br> ৪) রোম, ইতালি:<br> যে সকল সংস্থার নামের মাধ্যমে খাদ্য নির্দেশ করে সেগুলোর সদর দপ্তর এখানে।<br> যেমন: IFAD, WEP, FAO.</p>

"টেকনিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর মনে রাখুন খুব সহজে"

................................... ১) জেনেভা,সুইজারল্যান্ড: ক) যে সংস্থার নাম প্রথমে I/W এবং শেষে U/R/Oআছে তাদের সদর দপ্তর এখানে। যেমন: ...

Read more »

বিস্বাস

বিস্বাস

Read more »

বিভিন্ন জয়ন্তী সমূহ

<p dir="ltr"><br> ১। ২৫ বছর পূর্তিকে বলা হয় : রজত জয়ন্তী (Silver Jubilee)<br> ২। ৫০ বছর পূর্তিকে বলা হয় : সুবর্ণ জয়ন্তী / স্বর্ণ জয়ন্তী (Golden Jubilee)<br> ৩। ৬০ বছর পূর্তিকে বলা হয় : হীরক জয়ন্তী (Diamond Jubilee)<br> ৪। ৭৫ বছর পূর্তিকে বলা হয় : প্লাটিনাম জয়ন্তী (Platinum Jubilee)<br> ৫। ১০০ বছর পূর্তিকে বলা হয় : শতবর্ষ (Centenary jubilee)<br> ৬। ১৫০ বছর পূর্তিকে বলা হয় : সার্ধশত (Sesquicentennial)<br> ৭। ২০০ বছর পূর্তিকে বলা হয় : দ্বিশতবর্ষ (Bicentenary/ bicentennial)</p>

বিভিন্ন জয়ন্তী সমূহ

১। ২৫ বছর পূর্তিকে বলা হয় : রজত জয়ন্তী (Silver Jubilee) ২। ৫০ বছর পূর্তিকে বলা হয় : সুবর্ণ জয়ন্তী / স্বর্ণ জয়ন্তী (Golden Jubilee) ৩...

Read more »

Bank Exam preparation, ব্যাংক পরিক্ষার প্রিপারেশন

<p dir="ltr">Akbindu Shishir<br> সহকারি পরিচালক , বাংলাদেশ ব্যাংক<br> শুরুতেই আসেন স্ট্যাটিসটিক্স টা ক্লিয়ার হই, প্রায় দশ হাজার এমসিকিউ উত্তীর্ন পরীক্ষার্থী অংশ নিবেন রিটেন পার্টে যেখান থেকে ভাইভার জন্য হয়তো কম-বেশি হাজার খানেক রাখা হবে। চূড়ান্ত নিয়োগ পাবেন শ'তিনেক ছেলেমেয়ে, অর্থাৎ এমসিকিউ উত্তীর্ন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৩% চূড়ান্তভাবে মনোনীত হবেন। বুঝতেই পারছেন কম্পিটিশন কতটা বেশি।<br> স্ট্যাটিসটিক্স দিয়ে শুরু করার উদ্দেশ্য হল এটা মনে করিয়ে দেয়া যে, যা করার সেটা রিটেন পার্টেই করতে হবে। শুধু টিকলেই হবে না, আপনাকে আপার মেরিট পজিশনও সিকিওর করতে হবে। এসব সবার জানা কথা।<br> রিটেন এক্সামের জন্য সময় আছে মাত্র সপ্তাহখানেক। এই অল্প সময়ে নতুনভাবে খুব বেশি কিছু আপনি করতে পারবেন না, শুধুমাত্র এক্সাম হল স্ট্রাটেজি সেট করা দরকার এই সময়ে। শুধু এখানেই ফোকাস করব।<br> স্ট্রাটেজি-১ঃ গুড টাইমিং<br> প্রথমেই ২০১৫ সালের অফিসার (জেনারেল) প্রশ্নটা দেখেন, এটাই আপনাকে পথ দেখাবে। সেখানে প্রশ্ন কাঠামো ছিল এরকমঃ<br> বিবি অফিসার (জেনারেল) - ২০১৫<br> ১. ফোকাস_ইংলিশ ৩০+৩০ = ৬০<br> ২. রিডিং কম্প্রিহেনসন = ২০<br> ৩. ম্যাথ = ৮ ম্যাথ * ৫ = ৪০<br> ৪. ফোকাস_বাংলা = ৩০<br> ৫. ট্রান্সলেশন ১৫+১৫= ৩০<br> ৬. প্যারাগ্রাফ ৪ টা*৫ = ২০<br> যারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে রিটেন এক্সাম দিয়েছেন তারা দেখলেই বুঝতে পারবেন এরকম কোয়েশ্চেন প্যাটার্নে মেইন চ্যালেঞ্জ হল টাইম মেইনটিনেন্স। সুতরাং, নেক্সট এক্সাম কোয়েশ্চেন এরকম লেংদী হলে আপনাকে আগেভাগে মাথায় সেট করে রাখতে হবে ৭/৮ টা ম্যাথ সলভ করে বাকি সময়ে কোন প্রশ্নে কত সময় দিবেন।<br> নেক্সট উইক এক্সামে টাইম ম্যানেজমেন্ট হতে পারে ১ নং চ্যালেঞ্জ, যারা সব প্রশ্নের উত্তর করে আসবেন তারা এক্সাম হল এ অন্তত অর্ধেক কম্পিটিটরকে পিছনে ফেলে আসবেন নিশ্চিতভাবে। আরও বেশি নিশ্চিত যে এটা জানার পরও, মাথায় থাকার পরও, এটা নিয়ে ভাবনা-চিন্তার পরেও অনেকেই টাইমিং মিসম্যাচের কারনে রেস থেকে ছিটকে যাবেন।<br> টিপসঃ মোট ১২০ মিনিট সময়ে ২০০ মার্কসের উত্তর করতে হবে; অর্থাৎ, প্রতি ১০ মার্কসের উত্তর করতে সময় পাবেন গড়ে ৬ মিনিট। নেক্সট কয়েকদিন আপনার কাজ হবে নিজের মত করে মাথায় টাইমিং প্লান সেট করা এবং পরীক্ষায় সেটা সচেতনভাবে কাজে লাগানো।<br> স্ট্রাটেজি-২ঃ প্রাইওরিটি সেটিং<br> রিটেন প্রিপারেশনে অলমোস্ট সবার প্রাইম কনসার্ন থাকে ফোকাস রাইটিং। এই পার্টটা নিয়ে অধিক সময় দেয়ার কারনেই অনেক সময় আপনি পিছিয়ে পড়তে পারেন।<br> লিচেন কেয়ারফুলি,<br> ম্যাথ, কম্প্রিহেনসন আর ট্রান্সলেশন হল রিটেনে ভাল করার জন্য স্ট্রাটেজিক্যালি মোস্ট ওর্থফুল আইটেম। এই তিন পার্ট মিলিয়ে প্রায় ১২০-১৩০ মার্কস কাভার করে ফেলে এবং শুধুমাত্র এই তিনটা আইটেমে ভাল করে আপনি আপার মেরিট পজিশনটা সিকিওর করে ফেলতে পারেন।<br> ম্যাথ, কম্প্রিহেনসন আর ট্রান্সলেশনে যেদিন ভাল করবেন, সেদিন আপনি সোনার হরিনটা মোটামুটি ধরেই ফেলবেন। আমার অভিজ্ঞতা হল খুব কম পরীক্ষার্থী আছে যারা কম্প্রিহেনসন আর ট্রান্সলেশন প্রাকটিস করেন। আর এখানে মাস্টারিং টা না আসা পর্যন্ত আপনি ব্যাংক জব টা পাবেন না, এটা সব পরীক্ষার জন্য প্রযোজ্য।<br> টিপসঃ দীর্ঘ সময় ধরে রেগুলার ম্যাথ, কম্প্রিহেনসন আর ট্রান্সলেশন প্রাকটিস করা দরকার, শর্টকাট জানা নাই। তবে লাস্ট কয়েকদিন বিগত ২/৩ বছরের ব্যাংক এক্সামের সব কম্প্রিহেনসন আর ট্রান্সলেশনগুলো সলভ করতে পারেন, অনেকটা হেল্প হবে।<br> মূল কথাগুলো সব মোটামুটি বলা শেষ। এই দুটা স্ট্রাটেজি মাথায় থাকলেই এনাফ। আরও কয়েকটা কথা মাথায় রাখুনঃ<br> (১) কোয়েশ্চেন প্যাটার্ন নিয়মিত পরিবর্তন হয়, আগের বছর থেকে এবারের প্যাটার্ণ আলাদা হতেও পারে। তবে টাইমিং স্ট্রাটেজি ঠিক রাখবেন।<br> (২) ফোকাস রাইটিং এ রাইটিং কোয়ালিটির চেয়ে প্রেজেন্টেশন কোয়ালিটি নিয়ে বেশি কনসার্ন থাকবেন। কাটা ছেড়া না হলে, বানান ভুল না হলে আর লেখা স্পষ্ট/সুন্দর হলে ভাল মার্কস পাবেন।<br> (৩) বিজনেস লেটার/প্যারাগ্রাফ মার্কস পাবার ভাল আইটেম। বিজনেস লেটারের কন্টেন্ট স্বল্প দৈর্ঘ্য আর প্রাসঙ্গিক হবে।<br> পরীক্ষায় কি কি ফোকাস রাইটিং আসতে পারে এটা নিয়া বেশি মাতামাতি করে সেন্টার ফোকাস থেকে সরে যাবেন না। ফোকাস রাইটিং কমন পাবার চেয়ে অনেক অনেক বেশি জরুরি সবগুলো আইটেম টাইম মেনটেইন করে সুন্দরমত লিখে আসা।<br> আমার কাছে সব ম্যাথ আইটেম আর সব ফোকাস রাইটিং আইটেম সমান গুরুত্ববহ। এসব সাজেশন কোন কাজে আসে না। মূল কাজের বিষয় দুটো, সেটাই বলার চেষ্টা করেছি। আমি জানি, এরকম সাজেশন খুব অল্প কয়েকজনেরই কাজে আসবে, তবে শুভকামনা সবার জন্যই।<br> সৃষ্টিকর্তা সকলের মঙ্গল করুন।</p>

Bank Exam preparation, ব্যাংক পরিক্ষার প্রিপারেশন

Akbindu Shishir সহকারি পরিচালক , বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতেই আসেন স্ট্যাটিসটিক্স টা ক্লিয়ার হই, প্রায় দশ হাজার এমসিকিউ উত্তীর্ন পরীক্ষার্থী ...

Read more »

লিখিত পরিক্ষা BCS,Writing

<p dir="ltr">পড়ুন ও অনুপ্রাণিত হন। জীবনের ১ম বিসিএসেই প্রশাসনে ৪র্থ হলেন যেভাবে।<br> লিখেছেন Adeeb Mumin Arif<br> মো. বরকত উল্লাহ জীবনের প্রথম বিসিএস এ প্রশাসনে হয়েছেন চতুর্থ।৩৬ তম বিসিএসই ছিল বরকত উল্লাহর জীবনের প্রথম কোন চাকরির পরীক্ষা।ফার্মেসি বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেই যখন তার বন্ধুরা মোটা অংকের চাকরি করছে তখন তিনি বিসিএস এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।বিভাগের রেজাল্টও তার ভালো। সিজিপি ৩.৫৭ নিয়ে আছেন অষ্টম পজিশনে।বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই একাডেমিক পড়াশুনা করেছেন নিয়মিত। পাশাপাশি প্রতিদিন বাংলা ও ইরেজী পত্রিকা পড়তেন মনযোগ দিয়ে।সমসাময়িক বিষয়গুলো জানতেন বিস্তারিত। মাঝে মাঝে পড়তেন গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকীয় পাতা। তৃতীয় বর্ষেই কাটিয়ে উঠেন ইংরেজীর দর্বলতাগুলো।আইইএলটিএস, জিআরইসহ অন্যান্য ইংরেজী পরীক্ষার শব্দার্থ ও কৌশলগুলো আয়ত্ব করে ফেলেন।এরপর স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষে উঠে চিন্তাভাবনা শুরু করেন কোন দিকে ক্যারিয়ার গড়বেন।তখন বড় ভাই এবাদত হোসেনের পরামর্শে বিসিএসএর পড়াশুনা শুরু করেন।ততক্ষণে স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা চলে আসে সামন্। নিয়মিত ল্যাব ক্লাশ আর প্রজেক্টের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা শেষ করেই বিসিএস এর পড়াশুনা ভালো করে শুরু করে দেন। চূড়ান্ত বর্ষের প্রজেক্টের কাজ থেকে পরে একটি সার্ভে রিচার্স আর্টিকেলও প্রকাশিত হয়্ তার। এরপর ৩৬তম বিসিএস এ প্রিলিতে অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা দিয়েই ধরে নেন প্রিলিতে পাশ করবেন। তাই প্রিলির পরপরই শুরু করেন লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি। টানা কয়েক মাস পরিশ্রম করেন।এরপর লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষায় বেশি লেখার চেয়ে সময় ঠিক রেখে সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ায় মনযোগ দেন বেশি।এভাবে প্রতিটি লিখিত পরীক্ষায় সম্পূর্ণ উত্তর দিয়ে আসতেন্।লিখিতের রেজাল্ট দেয়ার পর ভাইভার প্রস্ততি নেন। ভাইভা নিয়ে বেশ নার্ভাস ছিলেন। কারন ভাইভার জন্য সময় বেশি পাননি রেজি নং আগে হওয়ায়।তাছাড়া ৩৭ এর লিখিত পরীক্ষা ছিল। প্রস্তুতির জন্য একটি মডেল ভাইভাতেও অংশগ্রহণ করেন।নিজের জড়তা দূর করেন।ভাইভার দিন বেশি পড়াশুনা না করে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করেন।<br> বরকত উল্লাহ ছোট বেলা থেকেই পড়াশুনায় খূব ভালো ছিলেন।প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সব সময় ছিলেন মেধাক্রমে প্রথম।গ্রামের আঠারদানা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি ও গফরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে ২০১০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন।দুটোতেই পান জিপিএ ফাইভ।এরপর মেডিকেলে পরীক্ষা দেন।সেখানে উত্তীর্ণ না হলে এরপর জাবিতে ডি ইউনিটে ১৮তম হয়ে ফার্মেসিতে ভর্তি হন। এছাড় ঢাবির এ ও ডি ইউনিট এবং জাবির এ ইউনিটেও চান্স পেয়েছিলেন। কিন্তু ভর্তি হন জাবির ফার্মেসি তে।<br> বরকত উল্লাহর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার ধোপাঘাট গ্রামে। বাবা মো. আব্দুল মান্নান ও মাতা রোমেনা খাতুনের আট ছেলে মেয়ের মধ্যে সপ্তম তিনি। বাবা দোকন দিলেও সন্তানদের পড়াশুনার প্রতি ছিলেন যত্নবান। মামা এনামুল হক বুলির দিক নির্দেশনায় তাদের সকল ভাইয়ের পড়াশুনা এগিয়ে যায়।চার ভাইয়ের মধ্যে বরকত উল্লাহ ছিলেন সবার ছোট। তাই তার প্রতি সবার প্রত্যাশাও ছিল বেশি। সাবার প্রত্যাশা পূরণ করে বরকত আজ প্রশাসন ক্যাডার।<br> বরকতের এখন ইচ্ছা একজন ভালো প্রশাসক হয়ে দেশ ও জনগণের সেবা করা।</p>

লিখিত পরিক্ষা BCS,Writing

পড়ুন ও অনুপ্রাণিত হন। জীবনের ১ম বিসিএসেই প্রশাসনে ৪র্থ হলেন যেভাবে। লিখেছেন Adeeb Mumin Arif মো. বরকত উল্লাহ জীবনের প্রথম বিসিএস এ প্রশাস...

Read more »